আজকের তারাবীহ্‌ ছলাত

★ ৬ষ্ঠ ছওম এর তারাবীহ ★

আজ ৫ম রমাদান, ১৪৪৫ হিজরি,  রোজ   শনিবার এশার ছলাতের পর ৬ষ্ঠ ছওম এর তারাবীহ এর ছলাতে পবিত্র কোরআন থেকে সর্বমোট দেড় পারা (অষ্টম পারার শেষ অর্ধেকাংশ এবং সম্পুর্ন নবম পারা ) তেলাওয়াত করা হবে।

এই দেড় পারা থেকে (সুরা আ’রাফের ১২নং আয়াত থেকে সুরা আনফালের ৪০নং আয়াত পর্যন্ত) সংক্ষেপে কিছু অংশ তুলে ধরা হলো:-

১। হে আদম সন্তান! প্রত্যেক ছলাতের সময় সুন্দর পোষাক পরিধান কর; আর খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না। তিনি অপব্যয়ীদেরকে পছন্দ করেন না। [ সুরা আ’রাফ-৩১ ]

২। যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে এমন কাউকে আমি তার সামর্থ্যের চাইতে বেশী বোঝা দেই না। তারাই জান্নাতের অধিবাসী। তারা তাতেই চিরকাল থাকবে। [ সুরা আ’রাফ-৪২ ]

৩। তারা স্বীয় ধর্মকে তামাশা ও খেলা বানিয়ে নিয়েছিল এবং পার্থিব জীবন তাদেরকে ধোকায় ফেলে রেখেছিল। সুতরাং, আজকে আমি তাদেরকে তেমনিভাবে ভুলে থাকবো; যেমনিভাবে তারা এ দিনের সাক্ষাতকে ভুলে গিয়েছিল এবং আমার আয়াতসমূহকে অবিশ্বাস করত।
[ সুরা আ’রাফ-৫১ ]

৪। নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ। তিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশের উপর অধিষ্টিত হয়েছেন। তিনি দিনকে রাত দ্বারা আচ্ছাদিত করেন- যাতে তারা একে অন্যের অনুসরণ করে ত্বরিত গতিতে; সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্র সবাই তার আদেশের অনুগামী। শুনে রেখ, তাঁরই কাজ সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা। আল্লাহ, বরকতময় যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক। [ সুরা আ’রাফ-৫৪ ]

৫। তোমরা বিনীতভাবে ও সংগোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাকবে। তিনি সীমা লংঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। [ সুরা আ’রাফ-৫৫ ]

৬। পৃথিবীকে শান্তি শৃঙ্খলা স্থাপনের পর তাতে বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করো না। আল্লাহকে ভয়-ভীতি ও আশা-আকাঙ্খার সাথে ডাকো।নিশ্চয় আল্লাহর করুণা সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী। [ সুরা আ’রাফ-৫৬ ]

৭। যারা আমার আয়াতসমূহকে এবং আখেরাতের সাক্ষাতকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, তাদের যাবতীয় আমল ধ্বংস হয়ে যায়। তারা যা করত তদনুযায়ী তাদেরকে প্রতিফল দেয়া হবে। [ সুরা আ’রাফ-১৪৭ ]

৮। যারা খারাপ কাজ করলে, তারপর তওবা করে নেয়, এবং ঈমান আনে, তবে নিশ্চয়ই তোমার আল্লাহ তো ক্ষমাকারী, করুণাময়।
[ সুরা আ’রাফ-১৫৩ ]

৯। বলুনঃ হে মানব মন্ডলী। তোমাদের সবার প্রতি আমি আল্লাহ প্রেরিত রসূল; সমগ্র আসমান ও যমীনে তার রাজত্ব। একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কারো উপাসনা নয়। তিনি জীবন ও মৃত্যু দান করেন। সুতরাং তোমরা সবাই বিশ্বাস স্থাপন করো আল্লাহর উপর, তাঁর প্রেরিত উম্মী নবীর উপর। তোমরা তারই অনুসরণ কর-যিনি বিশ্বাস রাখেন আল্লাহ এবং তাঁর সমস্ত কালামের উপর। আশা করা যায় তোমরা সরল পথপ্রাপ্ত হবে।
[ সুরা আ’রাফ-১৫৮ ]

১০। আর সে সময়ের কথা স্মরণ কর, যখন তোমার পালনকর্তা সংবাদ দিয়েছেন যে, অবশ্যই কেয়ামত দিবস পর্যন্ত ইহুদীদের উপর এমন লোক পাঠাতে থাকবেন যারা তাদেরকে নিকৃষ্ট শাস্তি দান করতে থাকবে। নিঃসন্দেহে তোমার পালনকর্তা শীঘ্র শাস্তি দানকারী এবং তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু। [ সুরা আ’রাফ-১৬৭ ]

১১। যারা আল্লাহর কিতাবকে সুদৃঢ়ভাবে আঁকড়ে থাকে এবং ছলাত প্রতিষ্ঠা করে, নিশ্চয়ই আমি বিনষ্ট করব না সৎকর্মশীলদের সওয়াব।
[ সুরা আ’রাফ-১৭০ ]

১২। আল্লাহ যাকে পথ দেখাবেন, সেই পথপ্রাপ্ত হবে। আর যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করবেন, সে হবে ক্ষতিগ্রস্ত। [ সুরা আ’রাফ-১৭৮ ]

১৩। আমি বহু জ্বিন ও মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি। তাদের অন্তর রয়েছে, তার দ্বারা বিবেচনা করে না; তাদের চোখ রয়েছে, তার দ্বারা দেখে না; আর তাদের কান রয়েছে, তার দ্বারা শোনে না। তারা চতুষ্পদ জন্তুর মত; বরং তাদের চেয়েও নিকৃষ্টতর। তারাই হল গাফেল, উদাসীন।
[ সুরা আ’রাফ-১৭৯ ]

১৪। আমি সৃষ্টি করেছি, তাদের মধ্যে এমন এক দলও রয়েছে যারা সত্য পথের দাওয়াত দেয় এবং ন্যায়বিচার করে। [ সুরা আ’রাফ-১৮১ ]

১৫। আমি তাদেরকে ঢিল দিয়ে থাকি। নিঃসন্দেহে আমার কৌশল সুনিপূণ। [ সুরা আ’রাফ-১৮৩ ]

১৬। আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন। তার কোন পথপ্রদর্শক নেই। আর আল্লাহ তাদেরকে বিভ্রান্তির মধ্যে উদভ্রান্তের মত অবস্তায় ছেড়ে দিয়ে রাখেন। [ সুরা আ’রাফ-১৮৬ ]

১৭। আপনাকে জিজ্ঞেস করে, কেয়ামত কখন অনুষ্ঠিত হবে? বলে দিন, এর খবর তো আমার পালনকর্তার কাছেই রয়েছে। তিনিই তা অনাবৃত করে দেখাবেন নির্ধারিত সময়ে। আসমান ও যমীনের জন্য সেটি অতি কঠিন বিষয়। যখন তা তোমাদের উপর আসবে অজান্তেই এসে যাবে। আপনাকে জিজ্ঞেস করতে থাকে, যেন আপনি তার অনুসন্ধানে লেগে আছেন। বলে দিন, এর সংবাদ বিশেষ করে আল্লাহর নিকটই রয়েছে। কিন্তু তা অধিকাংশ লোকই উপলব্ধি করে না। [ সুরা আ’রাফ-১৮৭ ]

১৮। আপনি বলে দিন, আল্লাহ যা চান তাছাড়া আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই। আর আমি যদি গায়েবের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য। [ সুরা আ’রাফ-১৮৮ ]

১৯। তারা কি এমন কাউকে শরীক সাব্যস্ত করে, যে একটি বস্তুও সৃষ্টি করেনি, বরং তাদেরকেই সৃষ্টি করা হয়েছে। [ সুরা আ’রাফ-১৯১ ]

২০। আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা সবাই তোমাদের মতই বান্দা। [ সুরা আ’রাফ-১৯৪ ]

২১। তাদের কি পা আছে, যদ্বারা তারা চলাফেরা করে; কিংবা তাদের কি হাত আছে, যদ্বারা তারা ধরে। অথবা তাদের কি চোখ আছে, যদ্বারা তারা দেখতে পায়; কিংবা তাদের কি কান আছে, যদ্বারা শুনতে পায়? বলে দাও, তোমরা ডাক, আল্লাহর সাথে যাদেরকে অংশীদার করেছ, অতঃপর আমার অমঙ্গল কর এবং আমাকে অবকাশ দিও না। [ সুরা আ’রাফ-১৯৫ ]

২২। আমার সহায়তো হলেন আল্লাহ, যিনি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। বস্তুত; তিনিই সাহায্য করেন সৎকর্মশীল বান্দাদের। [ সুরা আ’রাফ-১৯৬ ]

২৩। আর তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাক তারা না তোমাদের কোন সাহায্য করতে পারবে, না নিজেদের আত্নরক্ষা করতে পারবে।
[ সুরা আ’রাফ-১৯৭ ]

২৪। আর ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খ জাহেলদের থেকে দূরে সরে থাক। [ সুরা আ’রাফ-১৯৯ ]

২৫। আর যদি শয়তানের প্ররোচনা তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে আল্লাহর শরণাপন্ন হও; তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। [ সুরা আ’রাফ-২০০ ]

২৬। আর যখন কোরআন পাঠ করা হয়, তখন মনযোগ সহকারে শ্রবণ কর এবং নিরব ও নিশ্চুপ থাক, যাতে তোমাদের উপর রহমত বর্ষিত হয়।
[ সুরা আ’রাফ-২০৪ ]

২৭। আর স্মরণ করতে থাক স্বীয় পালনকর্তাকে আপন মনে ক্রন্দনরত ও ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় এবং এমন স্বরে যা চিৎকার করে বলা অপেক্ষা কম; সকালে ও সন্ধ্যায়। আর বে-খবর থেকো না। [ সুরা আ’রাফ-২০৫ ]

২৮। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং নিজেদের অবস্থা সংশোধন করে নাও। আর আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য কর, যদি ঈমানদার হও। [ সুরা আনফাল-১ ]

২৯। যারা ঈমানদার, তারা এমন যে, যখন আল্লাহর নাম নেয়া হয় তখন ভীত হয়ে পড়ে তাদের অন্তর। আর যখন তাদের সামনে পাঠ করা হয় আল্লাহর কালাম, তখন তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তারা স্বীয় পরওয়ারদেগারের প্রতি ভরসা পোষণ করে। [ সুরা আনফাল-২ ]

৩০। যে সমস্ত লোক যারা ছলাত প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে রুযী দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে- তারাই হল সত্যিকার ঈমানদার! তাদের জন্য রয়েছে স্বীয় পরওয়ারদেগারের নিকট মর্যাদা, ক্ষমা এবং সম্মানজনক রুযী। [ সুরা আনফাল-৩,৪ ]

৩১। হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না। [ সুরা আনফাল-১৫ ]

৩২। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলার নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূক ও বধির, যারা উপলদ্ধি করে না। [ সুরা আনফাল-২২ ]

৩৩। হে ঈমানদারগণ, খেয়ানত করোনা আল্লাহর সাথে ও রসূলের সাথে এবং খেয়ানত করো না নিজেদের পারস্পরিক আমানতে জেনে-শুনে [ সুরা আনফাল-২৭ ]

৩৪। নিঃসন্দেহে যেসব লোক কাফের, তারা ব্যয় করে নিজেদের ধন-সম্পদ, যাতে করে বাধাদান করতে পারে আল্লাহর পথে। [ সুরা আনফাল-৩৬ ]

 

Dawa Guide

Dawa Guide